বিএসটিআইয়ের মান গ্রহণ করবে ভারত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সফরে স্বাক্ষরের জন্য তিনটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশের পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআইয়ের সঙ্গে ভারতের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এই চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। আর চুক্তিটি সই হলে দুই দেশের বাজারে পণ্য প্রবেশের সময় নতুন করে মান পরীক্ষা করতে হবে না। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার সার্টিফিকেট গ্রহণ করবে দেশ দুটি।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, তিনটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে একটি হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের উত্থাপন করা অ্যাগ্রিমেন্ট বিটউইন বিএসটিআই অ্যান্ড ব্যুরো অব ইন্ডিয়ার স্ট্যান্ডার্ড কো-অপারেশন ইন দ্য ফিল্ড অব স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যান্ড কনফরমেটি অ্যাসেসমেন্ট। urgentPhoto
সচিব বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে আমাদের আমদানি ও রপ্তানিকারকরা সুবিধা পাবেন। আমাদের দেশের বিএসটিআই কোনো পণ্যের জন্য যে সনদ দেবে, তা ভারত গ্রহণ করবে। আবার ভারতের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে সনদ দেবে, সেটি বাংলাদেশ গ্রহণ করবে। এতে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আর নতুন করে মান পরীক্ষা করতে হবে না।’
এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী পণ্যের মান বাড়ানোর বিষয়ে দুই দেশের সংস্থা দুটি কাজ করবে বলেও জানান সচিব।
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার বিষয়েও একটি চুক্তি সই করা হবে। চুক্তিটির আনুষ্ঠানিক শিরোনাম ‘অ্যাগ্রিমেন্ট বিটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া ফর দ্য রেভলিউশন অব মোটর ভেহিকল প্যাসেন্জার ট্রাফিক বিটউইন দ্য টু কান্ট্রি এবং প্রটোকল অন অপারেশন অব প্যাসেঞ্জার বাস সার্ভিস বিটউইন ঢাকা ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড গোহাটি ইন ইন্ডিয়া ভায়া সিলেট (বাংলাদেশ) অ্যান্ড শিলং ইন টার্মস অব অ্যাগ্রিমেন্ট বিটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’।
একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উত্থাপিত আরেকটি চুক্তি হলো, ‘অ্যাগ্রিমেন্ট বিটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া ফর দ্য রেভলিউশন অব মোটর ভেহিকল প্যাসেন্জার বিটউইন দ্য টু কান্ট্রি এবং প্রটোকল অন অপারেশন অব প্যাসেঞ্জার বাস সার্ভিস বিটউইন কলকাতা অ্যান্ড আগরতলা ইন ইন্ডিয়া ভায়া ঢাকা ইন বাংলাদেশ ইন টার্মস অব অ্যাগ্রিমেন্ট বিটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’।
এ চুক্তি দুটির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুই দেশই সমানভাবে সব সুযোগ-সুবিধা পাবে বলে প্রটোকলগুলোতে বলা আছে। এতে দুই দেশের কানেক্টিভিটি বাড়বে। চুক্তি এবং প্রটোকলে উভয় দেশের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
ভারত বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে নিজেদের দেশে যাবে। এতে তারা লাভবান হবে। কিন্তু বাংলাদেশ কী পাবে, তা জানতে চাইলে মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, প্রটোকল অনুযায়ী এমন ব্যবস্থা করা হবে, যাতে বাংলাদেশ লাভবান হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এ ছাড়া চুক্তির আগেই ভারত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাস চলাচলের বিষয়ে সচিব কিছুই জানেন না বলে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন।