মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলে দেশ পিছিয়ে আছে : আমু

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশের ক্ষমতায় এসেছিল তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরেনি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান।
আজ শনিবার সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, পঁচাত্তরের পর মুক্তিযোদ্ধারাও তখন ‘জয় বাংলা’ বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিয়েছেন। যার ফলে স্বাধীনতাবিরোধী নিজামী-মুজাহিদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উঠেছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল ক্ষমতায়, তাই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হলেও অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবারের কাছেও সঠিক ইতিহাস বলেননি। সন্তানদের নিয়ে বসে কখনো যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে যুদ্ধ করেছেন, তা জানাননি। এ কারণেই আজ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাও বিপথগামী। মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলের কারণেই আজ জাতি পিছিয়ে আছে। তারা যদি সঠিক পথে চলত, তাহলে অনেক আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হতো।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা আসার পরে ৮১ থেকে ৯৬, ১৫ বছর তাঁকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। বারবার তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বারবার তাঁর প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ১৫ বছরেও তো অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভাইরা নৌকার বাক্সে ভোট দেন নাই। ওই সব সরকার গঠনে সহায়তা করেছেন। তার ফলে আপনারা এত পিছিয়ে গিয়েছেন। দেশ এত পিছিয়ে গিয়েছে।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সেকান্দার আলী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মো. মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী।
চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা তছলিম উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস লস্কর। এ সময় শিল্পমন্ত্রী অসহায় ১৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা সরকারি অনুদানের চেক তুলে দেন।