গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি দুর্গা মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন- সোহেল শেখ, সবুর শেখ ও তোরাব আলী শেখ।

মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ডুমুরিয়া ইউনিয়র পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুকুমার বাইন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলাটি করা হয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বুধবার গভীর রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের জামাই বাজার এলাকায় সার্বজনিন দুর্গা মন্দিরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা ৯টি মূর্তি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি আজ সকালে ওই এলাকার লোকজন জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।

এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকায় একটি খাস জমির দখলকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববতী বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এজাজ শেখের সঙ্গে স্থানীয় কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে ওই দুর্গা মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ঘটনা রাতে হওয়ায় কে বা কারা ভাঙচুর করেছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা এরই মধ্যে দুজনকে আটক করেছি। খাস জমি দখল নিয়ে এ ভাঙচুর হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, ‘বিষয়টি স্পর্শকাতর। এটি প্রধানমন্ত্রীর নিজ উপজেলা। যাদের  নাম এসেছে তাদের আমরা আটক করব। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছি।’