জেলা পরিষদের প্রার্থীর প্রচারে বাধা, প্রাণনাশের হুমকি

উত্তাপ ছাড়াই নেত্রকোনায় চলছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার। শুধু জনপ্রতিনিধিদের ভোটে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন নিয়েও রয়েছে প্রার্থীদের নানা অভিযোগ।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনায় পাঁচ পৌরসভা, ১০ উপজেলা, ৮৬ ইউনিয়নে এক হাজার ২১৩ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯২৭ এবং মহিলা ভোটার হচ্ছেন ২৮৬ জন। প্রতীক বরাদ্দের পর সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৩ জন এবং ওয়ার্ড সদস্য পদে ৬১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে তাঁদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
মদন উপজেলার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী (তালা প্রতীক) আলহাজ আল মনসুরুল আলম আরিফ অভিযোগ করেছেন, তাঁকে নির্বাচন থেকে বিরত থাকার জন্য বেশ কয়েকবার প্রকাশ্য ও মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরিফ জানান, সরকারদলীয় কতিপয় লোক প্রচারে বাধা দিচ্ছে। তারা প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা ভোটারদের একত্রিত করে ভূরিভোজের আয়োজন করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৮ ডিসেম্বরের জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র প্রশান্ত কুমার রায়। এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এঁরা হচ্ছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মোছা. আয়শা আক্তার এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে মো. আবদুল হান্নান রতন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মোহতাসিম জানান, অভিযোগ ওঠার পর এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে, পরে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।