সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার করোনার নমুনা পরীক্ষা কক্সবাজারে

চট্টগ্রামে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত সাতকানিয়া ও লোহাগাডা উপজেলার নমুনা পরীক্ষা হবে কক্সবাজারে। এর আগে এই দুটি উপজেলার করোনা পরীক্ষা হতো চট্টগ্রাম বিআইটিআইডি ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র। কিন্তু এ দুটি কেন্দ্রে নমুনা গ্রহণের চার থেকে পাঁচ দিন, ক্ষেত্রবিশেষে আরো দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বাচিপ গঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নমুনা পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় দিন পরেও রিপোর্ট না পাওয়ার ফলে সাতকানিয়ায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার হার কমে যাচ্ছিল দিন দিন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নজরে এনে সাতকানিয়া ও পার্শ্ববর্তী লোহাগাডা উপজেলার নমুনাসমূহ কক্সবাজারে স্থাপিত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক সম্মতি দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকে (স্বাস্থ্য) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারেও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে নমুনা সংগ্রহের হারও। তবুও তা চট্টগ্রামের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। তাই সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার নমুনা কক্সবাজারে পরীক্ষা করানোর এ সিদ্ধান্তে এ দুই উপজেলাবাসী উপকৃত হবে নিঃসন্দেহে।’
ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান আরো বলেন, ‘আমি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আগামী ৫ মে থেকেই এ দুই উপজেলার নমুনাসমূহ কক্সবাজারে পরীক্ষার করানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-এ আলম বলেন, ‘পুরো চট্টগ্রামের মধ্যে সাতকানিয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এ উপজেলায় অলরেডি একজন লোক মারাও গেছেন। এখন পর্যন্ত আক্রন্তের সংখ্যা ১৫। এখান থেকে নমুনা পাঠালে সেটির রিপোর্ট এলেও বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যাচ্ছে। যদি কক্সবাজারে আমাদের নমুনাগুলো পরীক্ষা হয় তাহলে অবশ্যই এটি আমাদের জন্য ভালো খবর। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা সেই সংক্রান্তে কোনো চিঠিপত্র পাইনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে এ ধরনের সংবাদ আমি শুনেছি।’