বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের জন্য প্রচুর পরিমাণে চাপ দিচ্ছে। আমরা কর্মসূচি সময়মতো দিবো। আমি মনে করি, এখনও আন্দোলনের উপযুক্ত সময় আসেনি।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সাবেক এই আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যে সরকার বলা হয়, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সেই সরকার না। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আস্তে আস্তে শিথিল হচ্ছে।’

দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ১১ বছর হয়ে গেছে এই সরকারের। দেশের মানুষ এখন অতিষ্ঠ, তারা পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন যত শিগগিরই আসবে, দেশের জন্য ততই মঙ্গল হবে।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রায় বন্ধ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দুর্নীতি প্রশাসনের প্রত্যেকটি শাখা-প্রশাখায় প্রবেশ করে গেছে। তারা যতই অভিযানের কথা বলুক, এগুলো উদ্ধার করতে পারবে না। আপনারা দেখেছেন, এই অভিযান এখনই প্রায় শেষ। সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজকে দুর্নীতির চিত্র পাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ ভিসিদের পদত্যাগ করা উচিত জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের ওপরে দুর্নীতির অভিযোগ। এরা দলীয়ভাবে নির্বাচিত, এরা নিজেদের মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হন নাই। দলের কারণে তাঁরা সেসব পদে আছেন এবং দুর্নীতি করছেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমি আশা করছি, সুপ্রিম কোর্ট আগামী শুনানিতে তাঁকে জামিন দেবেন। যদি না দেন, তাহলে মনে করতে হবে রাজনৈতিক কারণে তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমানসহ অনেকে।