লক্ষ্মীপুরে ১০ শিশুসহ ১৩৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে নতুন করে আরও ১০ রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে তিন শিশুসহ ১৪ রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এদিকে ডেঙ্গু রোধে গত দুদিন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের চক বাজার, উত্তর স্টেশন ও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে দেখা গেছে।

আজ বুধবার সরেজমিনে হাসপাতালে দেখা যায়, ইসমাইল হোসেন আলম (৫২), কুশাখালির কাঠালি গ্রামের সোহাগ (২১), মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তৌহিদুর রহমান ইমতিয়াজ (১২), রায়পুরের আফরিন জাহান (৫), সদরের ভবানীগঞ্জের আবু তালহা (৫) ও আবদুল কাদের লাবিবসহ (২৫) মোট ১৪ নারী-পুরুষকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত ইমতিয়াজের মা শারমিন আক্তার জানান, মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে ইমতিয়াজ পড়াশোনা করে। সেখানে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকবার বমি করে। জানতে পেরে তাকে এনে হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়েছে। পরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে এ মৌসুমে ১৩৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ১৩২ জন সদর হাসপাতালে ও সাতজন কমলনগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। শুধু অক্টোবর মাসেই ৬৯ রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সদর হাসপাতালে চার শিশুসহ ১৪ রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত এক মাসে সদর হাসপাতালে ৬৯ রোগী ভর্তি হয়েছে। এতে কয়েকজন শিশুও ছিল। অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।’

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন (সিএস) আহম্মদ কবির বলেন, ‘ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ। মশা নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশা ধ্বংসে আমরা জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের সঙ্গে সভা করেছি। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।’