লক্ষ্মীপুরে সবশেষ ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ জেলায় ২৬ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের এক রোগীর করোনা ধরা পড়েছে। ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা তিন চিকিৎসকসহ হাসপাতালে কর্মরত ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গাফ্ফার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাঁর নমুনায় করোনা পজিটিভ আসে। এজন্য তাঁর সংস্পর্শে আসা তিন চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফসহ ২০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গভাবে জীবাণুমুক্ত করে দ্বিতীয় তলা আবার চালু করা হবে।

এদিকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলার চর আফজল গ্রামে ঢাকা ফেরত মো. রাজীব (২০) নামের এক কিশোর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ সময় মৃত কিশোরের সংস্পর্শে আসা আরো ১০ জনের নমুন সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কামনাশীষ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,১২ দিন আগে ঢাকার কর্মস্থল থেকে রাজীব বাড়ি ফেরেন। এর মধ্যে গত দুইদিন সে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার মৃত্যুর ঘটনায় তিন বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৬ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।