মুরগির দাম বাড়ছেই

রাজধানী ঢাকায় টানা দুই সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া পাল্লা দিয়ে অন্য জাতের মুরগির দামও বেড়েই চলছে। দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ মুরগি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরঝিল, মিরপুর, মুগদাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকা দরে।
অপরদিকে, ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৭০ টাকা। এখানে ১০-২০ টাকা দরে দাম বেড়েছে।
কারওয়ানবাজারে বিক্রেতা হাসেম আলী বলেন, চাহিদার তুলনায় ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম, তাই দুই সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার কারণে সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে।
কারওয়ানবাজারে টিপু হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, শুক্রবারে বাসায় মাংস খাই। বাজারে গরু-খাসির মাংস নিম্ন-মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালের বাইরে। সেখানে মুরগি দিয়েই চালাতে হয়। আজ বাজারে এসে দেখি এখানে দাম বেড়ে গেছে। যদি দাম নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, গরিব মানুষ এটাও খেতে পারবে না।
এদিকে, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে।
সবজির বাজার
সবজির বাজারে দেখা গেছে, পুরাতন শিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। আর, বাজারে নতুন আসা লম্বা ও বিচি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। গাজর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা দরে। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। ফুলকপির পিস ৩০-৪০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মুলা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, শাল গম কেজি ৩০-৪০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে, আর পালন শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
মাছের বাজার
মাছ বাজারে দেখা গেছে, রুই ও কাতলা মাছ কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা। শিং ও টাকি মাছ কেজি ৫০-৩৫০ টাকা। শোল মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছ ১৫০-১৭০ টাকা।
ইলিশ মাছ কেজি ভিত্তিক এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা।