মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কলেজছাত্র মো. তানভীর আহাম্মদ জিসান হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার আসামিদের ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিহত জিসান ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ এলাকার শাহিন আলমের ছেলে। তিনি মোহাম্মদপুর হাজি মুকবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার হাসিবুল হাসান (১৮) এবং আজিজুল মোল্লা (১৮) নিজেরাসহ জড়িত আসামিদের নাম প্রকাশ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিবালয় উপজেলার পাচুরিয়া এলাকার রাব্বী হোসেন ওরফে প্রান্তিক (১৮), ছোট শাকরাইল এলাকার আজিজ মোল্লা (১৮), শরিফ হোসেন (১৮), নাজমুল (১৮), পূর্ব ঢাকাইজোড়া  এলাকার হাসিবুল হাসান (১৮)।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর জিসান ঢাকা থেকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। জিসানের পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এদিকে, গত ১৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছাকাছি পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জামা-কাপড় দেখে তাঁকে জিসান বলে শনাক্ত করে তাঁর পরিবার।

এ ঘটনায় শিবালয় থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) তানিয়া সুলতানা জানান, আসামিদের ভাষ্যমতে, প্রধান অভিযুক্ত রাব্বীর সঙ্গে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছুদিন আগে জিসানের কয়েকজন বন্ধু ঢাকা থেকে রাব্বীর মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় এবং অপমান করে। এ ঘটনার জেরে জিসানকে রাব্বি তাঁর এলাকায় ডেকে নেন। এরপর পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনালের কাছে নদীর চরে রাব্বী ও তাঁর পাঁচ বন্ধু মিলে রশি দিয়ে হাত বেঁধে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে জিসানকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় জিসানের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।