‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুত কোস্ট গার্ড, সেনাবাহিনী

পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় জেলাপর্যায়ে সব কর্মকর্তাকে নিয়ে আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যেকোনো পরিস্থিতিতে সব উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, পুলিশ, আনসার এবং প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে গঙ্গামতি ঝাউবন সংলগ্ন সাগরে একটি মাছধরা ট্রলার থেকে বেলাল নামের এক জেলে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা যেন গোসল করতে সমুদ্রে না নামেন, সেজন্য মাইকিং করছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এদিকে সাগর থেকে ফিরে আসা মাছধরা ট্রলার ও নৌকাগুলো নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ ১৮টি নৌপথে ৬৫ ফুটের নিচে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উপকূলীয় সাতটি উপজেলার ৪০৩টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে এবং ৩৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দুর্যোগের জরুরি বার্তা দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০০ টন চাল, ২৭৫ বান্ডিল ঢেউটিন, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, পুলিশের কর্মকর্তারা মোটরসাইকেলে করে হুইসেল বাজিয়ে বিচ্ছিন্ন এলাকার মানুষদের সতর্কবার্তা দিচ্ছেন।
এ ছাড়া পায়রা বন্দরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। মাদারভ্যাসেল ও লাইটার জাহাজগুলো নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্দর সংলগ্ন বাসিন্দাদের বন্দরের অভ্যন্তরে মাল্টিপারপাস ভবনে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পায়রায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখাসহ জরুরি প্রয়োজনে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।