মানিকগঞ্জ সরকারি এসকে বালিকা বিদ্যালয়ের ১০৭৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে টিকাদান কর্মসূচি চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের  এই টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. লুৎফর রহমান ও  জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহান।

ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. লুৎফর রহমান জানান, ইউনিক জন্মনিবন্ধন কার্ড সঙ্গে নি‌য়ে তাৎক্ষণিক নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার সুযোগ পান মানিকগঞ্জের শিশু শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্য বিভাগের আটজন কর্মী তাদের টিকা দেন। তাদের সহায়তা করেছেন ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবী।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপসটির সার্ভার কাজ না করায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও নিবন্ধন করতে পারেনি।’ 

 জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জানান, গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিাতিতে পরীক্ষামূলকভাবে সদর উপজেলার মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি এসকে বালিকা বিদ্যালয়, গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয় এবং আটিগ্রাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১২ শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসায় ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা নিয়মিত ওইসব শিক্ষার্থীদের বাসায় তদারকি করেন। ১৪ দিনেও টিকা গ্রহণকারী কোনো শিক্ষার্থীর কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।’

টিকা প্রয়োগ শতভাগ সাফল্য হয়েছে বলেও জানান শিক্ষা কর্মকর্তা।