বিএনপি নেতা হাফিজ গ্রেপ্তার

রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মোহাম্মদ শামীম।
শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘হাইকোর্ট এলাকা থেকে শাহবাগ থানার সহযোগিতায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) মেজর হাফিজকে গ্রেপ্তার করেছে। সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
এর আগে একই মামলায় আজ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে রণাঙ্গনের জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলটি হাইকোর্টের সামনে গেলে নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।
এতে কিছু সময়ের জন্য ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় সেদিন রাতে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২০ থেকে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং ৪৭৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। রাতের একটি ফ্লাইটে ইশতিয়াক আজিজ উলফাত মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল।