লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ঘরে ঢুকে বাবা এবং বোনের স্বামীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণচেষ্টার ঘটনায় পাঁচ যুবককে আটক করা হয়েছে। উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের দক্ষিণ নুরুল্লাপুর গ্রামে গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আটক পাঁচ যুবক হলেন—সদরের চরশাহী ইউনিয়নের বসুদুহিতা গ্রামের  রাসেল, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের রবিউল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানাধীন মোহাম্মদপুর গ্রামের আরিফ, একই গ্রামের শাওন ও মোরশেদ আলম। এর মধ্যে রাসেলের নামে বেগমগঞ্জ থানায় মাদক মামলা ও চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে রাসেল ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতেন। ওই ছাত্রীদের বাড়ির কাছাকাছি বসতি (বাড়িঘর) কম। এর মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রাসেল লোকজন নিয়ে ওত পেতে তাদের বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকেন। দরজা বন্ধ থাকায় তাঁরা ঘরে ঢোকেননি। ঘটনার সময় ছাত্রীর বড় বোনের স্বামী বাড়ি এলে ঘরের দরজা খোলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আড়াল থেকে বের হয়ে রাসেলসহ তাঁর লোকজন ঘরে ঢুকে ছাত্রীর বোনজামাই ও বাবাকে অস্ত্র ঠেকান। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে ঘর থেকে বের করে তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেন৷ এ সময় চিৎকার শুনে একটি অটোরিকশাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন  স্থানীয়রা। তবে, অন্য দুটি অটোরিকশা আটক করা সম্ভব হয়নি।

ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বোনের স্বামী বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী আমার শ্যালিকাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় তাকে অপহরণ করতে পারেনি। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব।’

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে রাসেলের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অপহরণ মামলা দায়ের করা হবে। তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’