প্রাণী উদ্ধারে ‘রবিনহুড’দের সাহায্য করবে ৯৯৯

ঢাকা মহানগরে উঁচু ভবন, গাছ অথবা গর্তসহ যেকোনো স্থানে প্রাণীরা আটকে গেলে বা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে সেখানে গিয়ে ওই প্রাণীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে ‘রবিনহুড দি অ্যানিমেল রেসকিউয়ার’ সংগঠনের সদস্যরা। এবার এ কাজকে আরো ত্বরান্বিত করতে সংগঠনটিকে সাহায্য করবে সরকারি জরুরি সেবা ‘৯৯৯’। গত বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ৯৯৯-এর সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
ওই সভায় কীভাবে ৯৯৯ প্রাণীদের উদ্ধারে সাহায্য করতে পারে, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়।
সরকারি এ জরুরি সেবার পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা প্রাণী উদ্ধারে ‘রবিনহুড দি অ্যানিমেল রেসকিউয়ার’ সংগঠনকে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছি। উনাদের বলেছি, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কেউ যদি প্রাণী উদ্ধারের খবর আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়, তখন আমরা ওই সংগঠনের ফোন নম্বর দিয়ে অথবা তাদের ফেসবুক গ্রুপে প্রাণী উদ্ধারের খবরটি জানিয়ে দেব। তারপর ওই সংগঠনের সদস্যরাই গিয়ে ওই প্রাণীকে উদ্ধার করবেন। আর এ ক্ষেত্রে আমরা বলে দিয়েছি, ৯৯৯-এর মাধ্যমে উনারা যদি প্রাণী উদ্ধার করেন, সে ক্ষেত্রে কারো কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিতে পারবেন না।”
সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “এটা আমাদের সরকারি সংস্থা। ৯৯৯-এর সঙ্গে ‘রবিনহুড দি অ্যানিমেল রেসকিউয়ার’ সংগঠনটির কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি। প্রাণী উদ্ধারের ক্ষেত্রে উনাদের কোনো ঝুঁকির ক্ষেত্রে আমরা দায়বদ্ধ নই। তবে আমরা প্রাণী উদ্ধারে উনাদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছি।” আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রাণী উদ্ধারে এ সাহায্য শুরু হবে বলে জানান তিনি।
নাজমুল আরো বলেন, ‘ওই সংগঠনের কোনো সদস্য হয়রানির শিকার হলেও আমরা সাহায্য করব, যেহেতু সেটা তাঁদের নাগরিক অধিকার।’
এ ব্যাপারে ‘রবিনহুড দি অ্যানিমেল রেসকিউয়ার’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আফজাল খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা মহানগরের ভেতর প্রাণী উদ্ধারে ব্যস্ত থাকতে হয় আমাদের। এ ক্ষেত্রে ৯৯৯-এর সহযোগিতার আশ্বাসে আমাদের কাজের পরিধি ও ব্যস্ততা আরো বাড়বে।’ এ ক্ষেত্রে সমাজের প্রাণীপ্রেমীদের কাছে আর্থিক সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
আফজাল বলেন, ‘প্রাণীদের উদ্ধারে ঢাকার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে আমাদের প্রতিদিনই বেশ খরচ হয়। সব সদস্যদের যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া ও উদ্ধারের সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের খরচ হয়। আমরা অল্প কিছু মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলেও তা যথেষ্ট নয়। আমরা সব সময় প্রাণীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসি। এ ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতায় প্রাণীপ্রেমীরাও যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে আমাদের কাজ আরো সহজ হয়।’
প্রাণী উদ্ধারের ব্যাপারে আফজাল আরো জানান, তাদের সংগঠনের সদস্যদের যেহেতু সাপ অথবা বিষাক্ত প্রাণীদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নেই, তাই তারা নিরাপত্তার কারণে সাপ উদ্ধার করতে পারবেন না। এ ছাড়া কুকুর, বিড়াল, পাখি, বানরসহ যে কোনো প্রাণীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসবে তারা।