পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে রিট খারিজ

পেঁয়াজের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণ উদঘাটনে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন এবং দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিকালে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন।
আজ রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. তানভির আহমেদ ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
শুনানিকালে রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার মো. তানভির আহমেদ আদালতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কয়েকটি পত্রিকার সংবাদ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। ভোক্তারা দামের এ অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ সময় দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করার মতো কিছুই হয়নি। সরকার এ বিষয়ে নজরদারি করছে। আমাদের প্রপারলি পার্টি করা হয়নি।’
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. তানভির আহমেদকে বলেন, ‘আমরা আপিল বিভাগে যাওয়ার জন্য অর্ডার দিতে পারি অথবা মামলাটি উপস্থাপন করা হয়নি মর্মে খারিজ করতে পারি।’ তখন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. তানভির আহমেদ উপস্থাপন করা হয়নি মর্মে খারিজ করেন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে চকবাজারের বাসিন্দা জাভেদ মিয়া এই রিট আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘দেখি সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি না। অন্যথায় আমরা হস্তক্ষেপ করব। ওই দিন রিটের শুনানি করতে আদালত রাজি হননি। অন্য রিটে উপস্থাপনের সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক আদালতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া রিট আবেদনে কী আছে, তা জানি না। আমরা কোনো অনুলিপি পাইনি। তখন আদালত বলেন, অপেক্ষা করুন। দেখুন কী হয়।’