কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২শাখা গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত  প্রজ্ঞাপন জারি করে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মো. নাহিদ হাসান।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ এর ১৩ক ধারা অনুসারে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো এবং পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চার-পঞ্চমাংশের বেশি সদস্যের ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করে তা অনুমোদন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ৫ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক সেলিম হত্যার বিচার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে আসায় পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রফিকুল ইসলাম রেনু পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক। তিনি ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

গত ২৮ মে রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক সেলিম হত্যা মামলার আসামিসহ অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানসহ নয়জন ইউপি চেয়ারম্যান অনাস্থা দিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন।

ক্যাপশন

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের অপসারণ হওয়া চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। ফাইল ছবি