পঞ্চমবারের মতো লিঙ্গ সমতায় দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা বাংলাদেশ, সূচকে অবনমন

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের করা ‘দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ বা বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচক প্রতিবেদনে টানা পঞ্চমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচক-২০২০’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও সামগ্রিকভাবে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
গতবারের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৫০তম। যুক্তরাষ্ট্রও (৫৩তম) বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৮তম।
বাংলাদেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলো অনেক পিছিয়ে। নেপাল (১০১), শ্রীলঙ্কা (১০২), ভারত (১১২), মালদ্বীপ (১২৩), ভুটান (১৩১) ও পাকিস্তান (১৫১)—কোনো দেশই এখনো একশর মধ্যে আসতে পারেনি।
২০০৬ সাল থেকে বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচক প্রকাশ করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। এই সূচকে নারী-পুরুষের বৈষম্য এবং বিভিন্ন সময়ে এ বৈষম্য দূরীকরণে দেশগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য ও গড় আয়ু, শিক্ষার সুযোগ, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন—মূলত এ চারটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এবার ১৫৩টি দেশে এ তুলনামূলক বিশ্লেষণ হয়। ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের তিন ধাপ নিচে অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
চারটি উপসূচকের মধ্যে বাংলাদেশ রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান সপ্তম। এ ছাড়া অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও সুযোগ উপসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম, শিক্ষার সুযোগ উপসূচকে ১২০তম এবং স্বাস্থ্য ও গড় আয়ুতে ১১৯তম।
এবারও তালিকার শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। দশমবারের মতো দেশটি এ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। এ তালিকায় সবচেয়ে নিচের অবস্থানে রয়েছে ইয়েমেন।