নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছি : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘ইভিএমে ভোট দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন—এ আহ্বান ভোটারদের প্রতি জানাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার বলেছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্ব পালন করবে।’ নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ শুক্রবার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণের কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন সিইসি নূরুল হুদা।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আগামীকাল শনিবার। ভোট গ্রহণের জন্য সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ঢাকা উত্তরের জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয় আটটি বিদ্যালয় থেকে। ওই কার্যক্রম পরিদর্শনে দুপুর সাড়ে ১২টায় রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আসেন সিইসি। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি নীতিমালা মেনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন—এ আহ্বান ভোটারদের প্রতি জানাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার বলেছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্ব পালন করবে। পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারদের বারবার ট্রেনিং দিয়েছি। তাঁদের বলেছি, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্ব পালন করার জন্য। ম্যাজিস্ট্রেটদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সিইসি আরো বলেন, ‘এ দেশে নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো দিনও সব রাজনৈতিক দলের আস্থা ছিল, আমি তো দেখিনি। একদল যারা ক্ষমতায় থাকবে, তারা এক ধরনের বক্তব্য দেবে; যারা ক্ষমতার বাইরে থাকবে, তাদের কখনো আস্থা আসবে না নির্বাচন কমিশনের ওপর—এ রকম একটা পলিটিক্যাল কালচার হয়ে আসছে। সেখান থেকে তাদেরই বেরিয়ে আসতে হবে।’
সেখানে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম। ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আবুল কাশেম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হলো ৮৭৬টি। সাধারণ কেন্দ্র হলো ৪৪২টি। সাধারণ কেন্দ্রে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ জন সদস্য। গুরুত্বপূর্ণগুলোতে থাকবে ১৮ জন।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম দেখতে এসে একই রকম প্রস্তুতির কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।
আবদুল বাতেন বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি এক হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭২১টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক্সট্রা ফোর্স থাকবে। একই সঙ্গে নির্বাচনী এলাকার আশপাশেও আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখব।’
শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয় দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে।