দানব সরকারকে সরাতে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে : মির্জা ফখরুল

বর্তমান সরকারকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির রোল মডেল মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই দানব সরকারকে সরাতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই হতাশার কথা বলেন। হতাশাই শেষ কথা নয়। মনে রাখতে হবে, অন্ধকারের পরই আসবে নতুন ভোর।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘এখন যেটা দাঁড়িয়েছে, তারা এখন সন্ত্রাসের রোল মডেল, তারা আজ নারী ধর্ষণের রোল মডেল, তারা দুর্নীতির রোল মডেল। তারা আজ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিচ্ছে।’
‘টাকা বানানো একটা ব্যাধি’—প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেই রোগে তো আপনারাই বেশি আক্রান্ত হয়ে গেলেন। আপনার সোনার ছেলেদের এখন ধরে ধরে আনছেন, তাদের বলার চেষ্টা করছেন যে, তোমরা এখন ভালো হয়ে যাও।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ দেশে কেউ এখন নিরাপদ না। যারা একটু শারীরিকভাবে দুর্বল, তারা বেশি অনিরাপদ। দুই মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বৃদ্ধা অথবা তরুণ-যুবক, বাবা, ভাই কেউ কিন্তু এখানে নিরাপদ না। বাংলাদেশ এখন একটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। সারা বাংলাদেশে আজ প্রতিদিনই নারী ও শিশুর উপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘সমাজকে বিভক্ত করে ফেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ। সমাজকে পুরোপুরিভাবে দূষিত করে ফেলেছে। চতুর্দিকে তাকালেই দেখা যাবে বিভক্তি। এই বিভক্তিটা ভয়ংকরভাবে সমাজের মধ্যে চলে গেছে। সেই ভয়ে-ত্রাসে কেউ কথাও বলতে চায় না।’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতায় রায় চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।