ঢাকায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ শনিবার পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতের কনফারেন্স রুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোস্তফা জামান বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে ও আইনের বিধান অনুসরণ করে কাজ করার জন্য আহ্বান করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ বলেন, মানি লন্ডারিং আইন, দুদক আইন ও মাদক আইনের মামলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থাগুলো সমন্বয় করে তদন্ত করতে হবে।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বলেন, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন মামলার ভিত্তি রচনা করে দেয়। তদন্তের ক্ষেত্রে যে ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে, সেগুলোর ভুল ফাইন্ডিংয়ে আসার পরে যেন আর ভুল না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়া, সিএমএম তদন্ত তদারকি কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, সাক্ষীর উপস্থিতি বাড়ানো, আলামত হাজির করা, আলামত নিষ্পত্তি ইত্যাদি বিষয়ে তাগিদ ও দিক নির্দেশনা দেন।
সিএমএম এ সময় পেশাদার মাদকব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারীসহ অন্য পেশাদার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই ধরনের মামলায় তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তি করবেন।
সভায় ডিএমপির বিভিন্ন থানার ২৫ জন ওসি, বিভিন্ন জোনের ডিসি, পিবিআই, র্যাব, দুদক, মাদক, কারাকর্তৃপক্ষ, পিপি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকদের প্রতিনিধি ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।