ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে : ডা. জাফরুল্লাহ

সরকার পরিবর্তন নয়, সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সংবিধানও পরিবর্তন করতে হবে। আমার দেশে আমি কথা বলতে পারব না, তা তো হয় না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের শেখ রাসেল পার্কে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা আয়োজিত ‘গণসংলাপ : বাংলাদেশ কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড এবং নাগরিকের নিরাপত্তা’ শিরোনামে আয়োজিত সভায় বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের দেশে মেয়াদোত্তীর্ণ বাস, মেয়াদোত্তীর্ণ লঞ্চ, মেয়াদোত্তীর্ণ রেলের বগি, মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ- সবকিছু আমাদের ঘাড়ের উপর চেপে বসে আছে। মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিসকে নতুন বলে চালানো হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে আমাদের কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ধর্ষণ-নির্যাতন। ধর্ষণ-নির্যাতনের সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্ক আছে। এটা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন। এদের একজনকে দল থেকে বের করে দিলে অন্য দশজন আসে। এর কারণ কী? এর কারণ হচ্ছে, এরা সবসময় সরকারি দলকে সার্ভিস দেয়।’
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।