টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই সহোদর নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই সহোদর নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক কারবারি। আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে টেকনাফের চকবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে আমানুল হক ওরফে মো. ফারুক (৩৭) ও আজাদুল হক (২৩)।
পুলিশের দাবি, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকা থেকে টেকনাফে ইয়াবা কিনতে গেলে আটক হন ফারুক ও আজাদুল। পরে তাঁদের নিয়ে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি পুলিশের।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলছেন, টেকনাফের মৌলভীপাড়া এলাকায় ইয়াবা কিনতে এলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজাদুল হক নামের একজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে মূল হোতা তাঁর বড় ভাই ফারুককে আটক করা হয়। এ সময় তাঁরা স্বীকার করেন, মৌলভীপাড়া এলাকা থেকে ইয়াবা কিনে চট্টগ্রামে সরবরাহ করে আসছেন তাঁরা। একপর্যায়ে দুই ভাইকে নিয়ে চকবাজার এলাকায় ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গেলে সহযোগীরা পুলিশের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাজাহার, কনস্টেবল দ্বীন ইসলাম ও আমজাদ গুলিবিদ্ধ হন।
পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ইয়াবা কারবারিদের গুলিতে ফারুক ও আমজাদ আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুটি দেশীয় তৈরি এলজি, ১১ রাউন্ড কার্তুজ ও ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।