টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইউপি সদস্যসহ নিহত ২

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য মৌলভি বখতিয়ার আহমদ প্রকাশ (৫৫) ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ই-ব্লকের ইউসুফ আলীর ছেলে মো. তাহের (২৭)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। পরে রাতে টেকনাফ থানার একটি ইয়াবা পাচার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইউপি সদস্য মৌলভি বখতিয়ার ও রোহিঙ্গা যুবক মো. তাহেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ইয়াবা বেচাকেনার ১০ লাখ টাকা।
পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াব্রাং এলাকায় ইয়াবা মজুদের কথা স্বীকার করেন তাঁরা। এ তথ্যের ভিত্তিতে দিবাগত রাতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য যায় পুলিশ। এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে ওত পেতে থাকা কিছু ইয়াবা কারবারি আটক ব্যক্তিদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাঝহারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. শহিদুল ইসলাম, মো. হাবিব ও আবু হানিফ আহত হন।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করলে একপর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পাঁচটি দেশে তৈরি এলজি, ১৭টি কার্তুজ, ১৩টি কার্তুজের খোসা, ২০ হাজার ইয়াবাসহ হামলাকারীদের গুলিতে পুলিশের হেফাজতে থাকা ইউপি সদস্য মৌলভি বখতিয়ার প্রকাশ ও রোহিঙ্গা যুবক মো. তাহেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি প্রদীপ কুমার।