ঝালকাঠিতে অগ্নিকাণ্ডে স্কুলসহ পুড়েছে ৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আহত ৫

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া বন্দর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে একটি স্কুলের তিন কক্ষসহ আশপাশের আটটি দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। এ সময় মালামাল উদ্ধার এবং আগুন নেভাতে গিয়ে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বলছেন, রাতে বাজারের নৈশপ্রহরীরা স্থানীয় নেছারের হোটেলে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার দেন। পরে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে আগুনের বিষয়টি জানিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। খবর পেয়ে কাঁঠালিয়া ও বামনা ফায়াস সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে বন্দরের বেশকিছু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে আমুয়ার আমীর মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষ, স্থানীয় নেছারের হোটেল, পলাশের কম্পিউটার দোকান, মাসুদের জুতার গোডাউন, বাবুলের পোশাকের দোকান, জুতার দোকান, শাহ জাহানের মুদি দোকানসহ আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় আরও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মালামাল উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে, গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী।
কাঁঠালিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমুয়া বন্দরে ব্যাপকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে—এমন খবর পেয়ে কাঁঠালিয়া ও বামনা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’