জনমত জরিপ বলছে তাপস-আতিকুল জয়ী হবেন : সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তাঁর নিয়োজিত একটি জরিপদলের পরিচালিত সরাসরি জনমত জরিপ বলছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম জয়ী হবেন।
ওই জরিপমতে, ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন আতিকুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে এই জনমত জরিপের বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন।
এতে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশাল জয় পেতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ তাপস। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন পাবেন মাত্র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। জাতীয় পার্টির (জাপা) সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন পাবেন ২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। তবে ঢাকা দক্ষিণে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার সিদ্ধান্ত নেননি। অন্যদিকে ভোট দেবেন না ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার।
একইভাবে ঢাকা উত্তরেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান বিশাল। এখানে বড় জয় পাবেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। জয়ের জরিপমতে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচনে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পাবেন মাত্র ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাপার মেয়র প্রার্থী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম পাবেন ১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। এই সিটিতে সিদ্ধান্ত নেননি ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ভোট দেবেন না। এ ছাড়া ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়ার বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।
নির্বাচন সামনে রেখে প্রকাশিত জরিপ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র নির্বাচন নিয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনমত জরিপ করিয়েছিলাম। উত্তরের ভোটারদের মধ্যে জরিপে অংশ নেন এক হাজার ৩০১ জন ও দক্ষিণে অংশ নেন এক হাজার ২৪৫ ভোটার। ভোটার লিস্ট থেকে রেন্ডম স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের বাছাই করা হয়।’
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘জরিপটি করা হয় সামনাসামনি, অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে নয়। মক ব্যালটের মাধ্যমে এই জরিপটি করার কারণে জরিপকারী কারোরই জানার সুযোগ থাকে না, কে কাকে ভোট দিল। জরিপ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পদ্ধতি এটি। নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় মানুষ জরিপে অংশ নিতে পারেন।’
জয় আরো বলেন, ‘জরিপটি করা হয় যখন দলগুলো তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাই জরিপের সঙ্গে আসল ফলাফলের কিছুটা পার্থক্য হতেই পারে। তারপরেও সেই পার্থক্য ৫-১০ শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।’