চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দপুরে কৃষক ইয়ার আলী ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা খাতুন খুনের ঘটনায় সাবেক স্ত্রীসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার গভীর রাতে তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন নিহত ইয়ার আলীর ভাতিজা মাসুদ রানা, সাবেক স্ত্রী ফেরদৌসী, ফেরদৌসীর বোন শরিফা, শরিফার স্বামী আশাদুল ইসলাম ও প্রতিবেশী জিয়ারুল হক।

আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিহত দম্পতির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে গোবিন্দপুর গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, ইয়ার আলী প্রায় ৪০ বিঘা জমির মালিক। তাঁর দুই মেয়ে হীরা খাতুন ও ইতি খাতুনের ধারণা জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পুলিশও একই ধারণা করছে। এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় ৬টার দিকে নিহত ইয়ার আলীর বড় মেয়ের জামাই শহিদুল ইসলাম অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার গোবিন্দপুরের নিজ বাড়ি থেকে কৃষক ইয়ার আলী ও তাঁর স্ত্রী রোজিনা খাতুনের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।