গাজীপুরের ফ্যান কারখানায় আগুন, চারজনের লাশ শনাক্ত

গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা এলাকায় লাক্সারি ফ্যান কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০ শ্রমিকের মধ্যে চারজনের লাশ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। এঁরা হলেন কেশরিতা গ্রামের বীরবলের ছেলে উত্তম কুমার (২৫), শ্রীপুর উপজেলার মারতা এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে রাশেদ (৩২) ও একই এলাকার শামিম হোসেন (২৬) এবং রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তাজুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (১৮)। এ ছাড়া বেশ কয়েকজনের মরদেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করতে পারেননি স্বজনরা।
নিহতদের মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা আছে। আজ লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শ্রমিক শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এঁরা হলেন কেশরিতা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও পাশের জামুনা এলাকার মো. হাসান।
ঘটনার পরপর গতকাল রাতেই গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। ঘটনা তদন্তে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কেশরিতা এলাকার রোজা হাইটেক লাক্সারি ফ্যান তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা ৭টায় আগুন নির্বাপণ করেন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু সালেহ মো. জাকারিয়া খান জানান, ওই কারখানার তিনতলায় আগুনের সূত্রপাত হলে শ্রমিক-কর্মচারীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ বের হতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন।
গাজীপুর ফায়ার স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট অথবা ফ্যানের কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।