কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত আড়াই হাজার ছাড়াল

কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৬৫ জন। জেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসন কক্সবাজার শহরসহ চকরিয়া, টেকনাফ, উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় 'রেড জোন' ঘোষণা করে লকডাউন কার্যকর করে। এর ফলে কিছুটা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও আগামীকাল পহেলা জুলাই থেকে জেলায় আর লকডাউন থাকছে না। এখন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কিছু খোলা থাকবে বলে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'গতকাল সোমবার পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৫৮ জন। এ সময়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৬৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৯ জন রোগী। এর মধ্যে পাঁচজন রোহিঙ্গাও রয়েছে।'
সিভিল সার্জন আরো বলেন, 'উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্পে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫০ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে চারজন।'
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। সদর উপজেলায় মোট করোনা রোগী এক হাজার ১৭৭ জন। এর মধ্যে সিংহভাগই কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা। এখানে সুস্থ হয়েছে ৩২৩ জন। রামু উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২১৩ জন, সুস্থ হয়েছে ১০৪ জন। উখিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ২৯০ জন, সুস্থ হয়েছে ১২১ জন। চকরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৩২২ জন, সুস্থ হয়েছে ২০৬ জন। টেকনাফে আক্রান্ত হয়েছে ২২৬ জন, সুস্থ হয়েছে ১৪৮ জন। পেকুয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১০১ জন, সুস্থ হয়েছে ৮৩ জন। মহেশখালীতে আক্রান্ত ১২৩ জন, সুস্থ হয়েছে ৭১ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ জন, সুস্থ হয়েছে ৯ জন রোগী।
সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'কক্সবাজার জেলার সর্বত্র করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন এখনো করোনামুক্ত রয়েছে। দ্বীপে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকায় করোনাভাইরাস এখানো সেখানে ঢুকতে পারেনি।'