উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত অন্তত ১৫

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। সংঘর্ষে জড়িতরা ক্যাম্পের ১৫টি ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। কুতুপালংয়ের ব্লক ডি-৫ ও ই-ব্লকের মাঝামাঝি স্থানে আজ রোববার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইমাম শরীফ (৩০) ও শামশুল আলম (২৮)। আহতদের উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের নবী হোসেন গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। ক্যাম্পে ইয়াবা ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল বলে ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলায় শরণার্থী ক্যাম্পের এক নারী নিহত হন এবং গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মুন্না গ্রুপ ও আনাস গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪ নম্বর এপিবিএনের পরিদর্শক ইয়াছিন ফারুক বলেন, ‘নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপের সঙ্গে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ভোররাতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।’
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা জানান, কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে রেজিস্টার্ড ও আন-রেজিস্টার্ড কয়েকটি রোহিঙ্গা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। সকালেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দুই রোহিঙ্গা গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।