ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেল আদুরী

মানিকগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে স্কুলছাত্রী আদুরী রাজবংশী (১৩)। আদুরী সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের রূহীদাসের মেয়ে ও নবগ্রাম হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
আজ বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা নবগ্রাম ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। সেইসঙ্গে আদুরীর বাবা রুহীদাস রাজবংশী এবং মা নয়নী রাজবংশী ১৮ বছর আগে বিয়ে দেবে না- এই মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়েছেন।
আদুরীর পরিবারের আর্থিক অনটন থাকায় তার স্কুলের লেখাপড়া প্রয়োজনীয় সব খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন নবগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার পারভেজ।
এ ছাড়া সদর ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা কিশোরী আদুরীর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় মেয়েদের পূর্ণ বয়স হওয়ার আগে বিয়ে না দিতে গ্রামবাসীকে সতর্ক করেন।
এ বিষয়ে আসমাউল হুসনা লিজা স্থানীয় গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বলেন, 'মেয়েটির পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। অর্থাভাবে মেয়েটির পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি কিশোরীর পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছি। আদুরীর মা-বাবা মুচলেকা দিয়েছেন যে ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবেন না। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হলে নারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন এবং সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে তা বিবাহ বিচ্ছেদেও রূপ নেয়।'