তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবারের ঘটনার জের ধরে আজকের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বারোঘইরা ও নজার বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে দুর্গাপুর গ্রামের বারোঘইরা বাড়ির ইমরানের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নজার বাড়ির অটোরিকশাচালক সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনার জের ধরে আজ শনিবার সকালে দুই পক্ষ পুনরায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি এবং সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘এ সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০৯টি রাবার বুলেট এবং ৩৩টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’