আন্দোলনের আগেই আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা, পৌর বিএনপি ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশে কখন কী হবে বলা যায় না। আন্দোলনের আগেই আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে গেছে। তাদের গণভিত্তি নেই। প্রশাসনই তাদের একমাত্র ভরসা। আগের আওয়ামী লীগ এখন আর নাই।’

‘আন্দোলনের নামে অরাজনৈতিকভাবে সহিংসতার পথে গেলে বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার আগেই তো আপনারা ভয় পেয়ে গেছেন। গ্রেপ্তার করা শুরু করে দিয়েছেন। আপনারা যে দাঁতভাঙা জবাব দেবেন, আপনাদের কী কামড় দেওয়ার সেই দাঁতগুলো আছে? আমি চ্যালেঞ্জ করে বলে দিতে চাই, ছোট্ট একটি মটরশুটি কামড় দেওয়ার যোগ্যতাও এখন আওয়ামী লীগের নাই।’

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘পেটোয়া বাহিনী পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি ছাড়া এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকার শক্তি নেই আওয়ামী লীগের। পেটোয়া বাহিনী দিয়ে ক্ষমতায় থাকার ক্ষমতাও ফুরিয়ে আসছে। অতএব বেশি কথা বলা ঠিক নয়, কাদের সাহেব। গ্রেপ্তারের ভয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গর্তে লুকিয়ে থাকে না। আমাদের ভয়ের কিছু নেই।’

যুবদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘দল দিয়ে দলের ইমেজে টিকে থাকবে, সেই আওয়ামী লীগ এখন আর নেই। শেখ মুজিবের আমলে যে আওয়ামী লীগ ছিল, সেই আওয়ামী লীগের কথা এখন আপনারা ভুলে যান। সেই আওয়ামী লীগকে আপনারা অনেক আগেই কবর দিয়ে দিয়েছেন। সেই আওয়ামী লীগকে আজকের আওয়ামী লীগ খেয়ে ফেলেছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাঁর সঙ্গে এখন আর দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সন্দেহ হচ্ছে, ক্ষতি করার জন্য তাঁকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে কি না।’ খালেদা জিয়ার ক্ষতি হলে তার হিসাব জনগণ নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আগামী ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সঠিক তথ্য তুলে ধরতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আপনারা আদালতের কাছে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য দিন। আমরা আপনাদের কাছে এই আহ্বান জানাই।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী ও কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।